ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ!

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম পুলিশদের স্ত্রীদেরকে ইউনিয়নের হতদরিদ্র কর্মসুুচির কর্মসংস্থান প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করার নামে উৎকোচ দাবি, পরে উৎকোচ না দেয়ায় নানাভাবে হয়রানি এবং সর্বশেষ উৎকোচ গ্রহনের পরও প্রতিবাদি গ্রাম পুলিশের চাকুরী খাওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্ত সচিব। এসব ঘটনার বিশদ বর্ণনা তুলে ধরে পরিষদের দফাদার আবু তাহের মানিক ১৩ ফেব্রুয়ারী চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে ঢেমুশিয়া ইউপির দফাদার ও চকরিয়া উপজেলা গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মানিক জানান, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে কর্মরত গ্রাম পুলিশ সদস্যদের স্ত্রীদেরকে হতদরিদ্র কর্মসুুচির কর্মসংস্থান প্রকল্পের অর্ন্তভুক্ত করা হয়। ওইসময় প্রকল্পে নাম দেয়ার অজুহাত দেখিয়ে ইউপি সচিব শহীদুল ইসলাম জনপ্রতি দেড় হাজার টাকা করে উৎকোচ দাবি করেন। তাতে গ্রাম পুলিশ সদস্যরা প্রতিবাদ করলেও ক্ষিপ্ত হয়ে সচিব জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা করে দাবি করেন। পরে বিষয়টি গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি দেড় হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য বলেন।

লিখিত অভিযোগে বাদি আরও জানান, চেয়ারম্যানের কথার পর তাঁরা সচিব শহীদুল ইসলামকে খুশি হয়ে পাঁচশত টাকা করে দেন। কিন্তু তাতে খুশি হননি সচিব। টাকা ছুঁেড় মারেন গ্রাম পুলিশদের মুখে। পরবর্তীতে ইউপি মেম্বারদের নাম ভাঙ্গিয়ে সুবিধাভোগী গ্রাম পুলিশদের কাছ থেকে অভিযুক্ত সচিব তিন হাজার টাকা করে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু ওই টাকা না দেয়ায় বর্তমানে পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের চাকুরী খাইয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে ইউএনও কাছে দায়ের করা অভিযোগটিতে বাদি আবু তাহের মানিক উল্লেখ্য করেছেন। এ অবস্থায় আতঙ্কগ্রস্থ পরিষদের গ্রাম পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত ওই ইউপি সচিবকে বদলী পুর্বক তাঁর কবল থেকে তাদেরকে রক্ষা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বলে লিখিত অভিযোগে তুলে ধরেন বাদি। #

পাঠকের মতামত: